সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে হতাশাজনক টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার এখনো ভুলতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ—পাকিস্তান সফর। আর সেই চ্যালেঞ্জে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই মাঠে নামছে টাইগাররা।টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানালেন, পাকিস্তানে ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে শারজাহর দুঃস্মৃতি ভুলে যেতে চায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা ছন্দহীন হলেও, তাদের হালকাভাবে নিচ্ছেন না তিনি।সিমন্স বলেন, “সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারটা ছিল কঠিন। তবে মাঝে মাঝে এমন পরাজয় দলকে চাঙ্গা করে তোলে। আমরা সেই হার থেকেই শিক্ষা নিয়েছি। ছেলেরা এখন দুর্দান্ত মানসিকতায় আছে।”পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় নিয়ে আশাবাদী এই ক্যারিবীয় কোচ আরও বলেন, “অনেকে বলছেন পাকিস্তান খুব একটা ফর্মে নেই। তবে ক্রিকেটে আসল ব্যাপার হলো—নির্দিষ্ট দিনে কে কেমন খেলে। আমাদের দারুণ সুযোগ রয়েছে।”তবে ইনজুরির ধাক্কাও কম নয়। সফরে বাংলাদেশ পাচ্ছে না দুই অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানকে। আর ব্যক্তিগত কারণে অনুপস্থিত নাহিদ রানা। ফলে বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব বর্তেছে শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসানের কাঁধে।মোস্তাফিজকে না পাওয়ায় আক্ষেপ ঝরেছে কোচের কণ্ঠে। “মুস্তাফিজ দলের একজন সিনিয়র বোলার হয়ে উঠেছে। আইপিএলে তার পারফরম্যান্সও ছিল দারুণ। অবশ্যই তাকে মিস করব। তবে এটিই অন্যদের জন্য বড় সুযোগ। আমি চাই, অন্তত একজন বলুক—এই সিরিজে ফিজের জায়গাটা আমি নেব,” বলেন সিমন্স।শক্তিশালী প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের মাটিতে চ্যালেঞ্জ কঠিন হলেও, মনোবলে ভর করেই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে টাইগার শিবির। এখন দেখার পালা—নতুন দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া এই তরুণ বোলাররা কতটা উজ্জ্বল করতে পারেন বাংলাদেশের সম্ভাবনা।ভোরের আকাশ//হ.র
১ মাস আগে
রিয়াল মাদ্রিদের রাজকীয় ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতীক ‘১০’ নম্বর জার্সি এবার কাঁধে তুলছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ক্লাবটির ইতিহাসে এই জার্সি শুধুই একটি নম্বর নয়, এটি লুকা মদরিচ, লুইস ফিগো, ওয়েসলি স্নেইডার, ক্লারেন্স সিডর্ফ ও মাইকেল লাউড্রুপের মতো কিংবদন্তিদের গর্বের প্রতীক।২০২৪ সালের গ্রীষ্মে পিএসজি ছাড়ার পর রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন ফরাসি সুপারস্টার এমবাপ্পে। শুরুতে করিম বেনজেমার বিদায়ের পর ‘৯’ নম্বর জার্সি গায়ে চাপিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও, নতুন মৌসুমে বড় এক পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছেন তিনি। ক্লাবটির মিডফিল্ড কিংবদন্তি লুকা মদরিচের বিদায়ের পর ‘১০’ নম্বর জার্সিটি বর্তমানে ফাঁকা, আর সেটিই এবার অলংকৃত করতে যাচ্ছেন গোলমেশিন এমবাপ্পে।‘এল চিরিনগুইতো’ সূত্রে জানা গেছে, ক্লাব ম্যানেজমেন্ট ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে যে পরবর্তী মৌসুম থেকে এমবাপ্পে পরবেন ‘১০’ নম্বর জার্সি।গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৪৩ গোল করে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট ও লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব জেতেন এমবাপ্পে। তবে উয়েফা সুপার কাপ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ছাড়া বড় কোনো শিরোপা না পাওয়ায় কিছুটা হতাশাও ছিল তার পারফরম্যান্স ঘিরে।তবে নতুন নম্বর, নতুন দায়িত্ব ও আরও পরিণত মানসিকতা নিয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুমে নিজেকে নতুনভাবে তুলে ধরতে প্রস্তুত এই ফরাসি তারকা। মাদ্রিদের সমর্থকদের প্রত্যাশা, এবার হয়তো সত্যিকার অর্থেই এমবাপ্পের যুগ শুরু হতে যাচ্ছে বার্নাব্যুতে।ভোরের আকাশ//হ.র
১ মাস আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিভিশন ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি (টিএফপি) স্পোর্টস ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত টিএফপি ইন্ট্রা ডেপ্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিএফপি ১১তম ব্যাচ। ২৬ ও ২৭ মে দুই দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবনা চত্বরে।৪টি দল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে ফাইনালে উঠে ৮ম এবং ১১তম ব্যাচ।মঙ্গলবার (২৭ মে) ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান করে ৮ম ব্যাচ। জবাবে কোন উইকেট না হারিয়ে ২ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ১১তম ব্যাচ।ম্যান অফ দ্য ফাইনাল হয়েছেন ১১তম ব্যাচের মিজান মুনসি। টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান করে টুর্নামেন্টসেরা ও সেরা ব্যাটার নির্বাচিত হন মিজান মুনসি। ৮ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছে ৮ম ব্যাচের ইমন।ফাইনাল শেষে ১১তম ব্যাচের অধিনায়ক মানজুর আরমানের হাতে ট্রফি তুলে দেন ক্লাবের সভাপতি আবু সুফিয়ান আকিব।ভোরের আকাশ/জাআ
১ মাস আগে
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গ্রুপ ‘সি’ এখন উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। চারটি দল বাংলাদেশ, ভারত, হংকং ও সিঙ্গাপুর নিজেদের প্রথম ম্যাচে ড্র করায় প্রত্যেকেরই পয়েন্ট সমান ১ করে। গোল পার্থক্যও শূন্য। ফলে পরের রাউন্ডে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিটি ম্যাচ এখন হয়ে উঠেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সমীকরণের মধ্যেই আগামী ১০ জুন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটিকে ঘিরে এখন থেকেই তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তাপ। কারণ, এই ম্যাচেই গ্রুপের পয়েন্ট টেবিল বদলে যেতে পারে। আর সে উত্তাপ আরও বেড়ে গেছে হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমের খেলার সম্ভাবনায়। ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া এই দুই ফুটবলারের উপস্থিতি ঘিরে সমর্থকদের আগ্রহ তুঙ্গে।বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়ালও ম্যাচটি নিয়ে বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, আমি এখনও বিশ্বাস করি বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে আমাদের গ্রুপটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, এখন পর্যন্ত সব দলেরই এক পয়েন্ট। তবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় পেলে আমাদের অবস্থান বদলে যাবে। আমরা সে লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।তবে ম্যাচটিকে ঘিরে শুধু মাঠেই নয়, গ্যালারিতেও তৈরি হয়েছে জটিলতা। টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা টিকিফাই অনলাইন কার্যক্রম শুরু করলেও প্রথম দিনেই সেটি বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার রাত ৮টার পর মাত্র ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে টিকিফাই টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে, যার ফলে সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। রোববার রাতে আবার টিকিট বিক্রি শুরুর কথা জানালেও সোমবার দিনভর সেই কার্যক্রম চালু হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাধারণ সমর্থকরা। বাফুফের পক্ষ থেকে অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও উঠেছে সমালোচনা। এ বিষয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, বাফুফে সব সময় নতুন কিছু করতে চায়। তবে প্রথমবার ভুল হতে পারে। আমরা সেটা স্বীকার করছি। দুটি আইপি থেকে সাইবার হামলা হয়েছে, তাই সার্ভার ডাউন ছিল। কিন্তু আমরা নজরদারি বাড়াচ্ছি। টিকিট সংগ্রহ থেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে আমরা তদারকি করব। এখনো কিছুটা সময় হাতে আছে, সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ।তিনি আরও বলেন, ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে সাধারণ গ্যালারির আসন সংখ্যা ১৮ হাজার ৩০০, এর সঙ্গে ভিআইপি ও অন্যান্য মিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। এত কম সংখ্যক টিকিটে সবাইকে প্রবেশ করানো সম্ভব নয় এটা স্পষ্ট। তাই বিকল্প ব্যবস্থাও রেখেছে বাফুফে। আটটি বিভাগীয় শহরে খোলা হবে ফ্যান জোন, যেখানে বড় পর্দায় খেলা উপভোগ করতে পারবেন সমর্থকেরা।তাবিথ আউয়াল বলেন, সবাইকে তো স্টেডিয়ামে ঢোকানো সম্ভব না। তাই আটটি বিভাগীয় শহরে আমরা ফ্যান জোন করব। যাতে যারা ঢাকায় আসতে পারবেন না, তারাও একসঙ্গে বসে খেলাটি উপভোগ করতে পারেন। দর্শকদের এই আগ্রহ দেখে অনেকে বলছেন, দেশের ফুটবলে যেন নতুন সুবাতাস বইছে। এর পেছনে অনেকের মতে, মূল ভূমিকা রাখছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি ফুটবলার হামজা চৌধুরী। যদিও বাফুফে সভাপতি এ উচ্ছ্বাসকে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ফল বলেই মনে করেন।তাবিথ বলেন, ফুটবলের উন্নয়নে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। শুধু জাতীয় পুরুষ দল নয় নারী দল, কোচিং, রেফারিং, টেকনিক্যাল বিভাগ সব জায়গাতেই আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। এখন ফলাফল আসছে, এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। ১০ জুন বাংলাদেশের সামনে বড় সুযোগ। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় পেলে এশিয়ান কাপে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে অনেকটাই। সেইসঙ্গে দেশের ফুটবলে ফের জেগে উঠবে হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন।ভোরের আকাশ/জাআ
১ মাস আগে