সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ
রাজীব দাস
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫ ০৮:০৭ পিএম
নেপালকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
আর মাত্র এক জয়! ফাইনালে বাংলাদেশ, নেপালকে হারিয়ে শিরোপার দোরগোড়ায় ছোটনের শিষ্যরা সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের মিশনে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শুক্রবার আয়োজিত সেমিফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বী নেপালকে ২-১ ব্যবধানে ধসিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের তরুণ শিষ্যরা। এর মধ্য দিয়ে শিরোপার লড়াই থেকে এক কদম দূরে পৌঁছেছে বাংলাদেশের যুবারা। গত আসরে অনূর্ধ্ব-২০ দলের এই প্রতিযোগিতার ফাইনালেও নেপালকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ফাইনালে উঠল তারা।
প্রথমার্ধে গোলশূন্য লড়াই, দুই দলই মিস করে একাধিক সুযোগ : খেলার শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে ব্যস্ত ছিল। তবে সুযোগ তৈরিতে নেপাল খানিকটা এগিয়ে ছিল। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে নেপালের বাঁদিক থেকে আসা একটি আক্রমণ রুখে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইসমাইল হোসেন মাহিন। এরপর ২২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দেয় রক্ষণভাগ। ২৩তম মিনিটে বাংলাদেশ প্রথম বড় সুযোগ পায়। ফয়সালের থ্রু পাস ধরে রিফাত বাঁ পায়ে শট নিলে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা পায় নেপাল। ৩০ মিনিটে নেপালের একটি প্রচেষ্টা গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ। চার মিনিট পর মুর্শেদের ফ্রি-কিক পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়। ৩৬তম মিনিটে ডানদিক দিয়ে ফয়সালের নেওয়া শট ফিস্ট করে ফেরান নেপাল গোলকিপার ভাক্ত বাহাদুর। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আসে গোল, নেতৃত্ব দেন ফয়সাল-আশিক : দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে দুই দল। ৫৫তম মিনিটে কর্নার থেকে বাংলাদেশের এক প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন নেপালের মদন পাওডেল। ৬০ মিনিটে গোলরক্ষক মাহিনের গ্লাভস ফসকে বল বেরিয়ে গেলেও বিপদমুক্ত করেন তিনি নিজেই। অবশেষে ৭৩তম মিনিটে কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। ফয়সালের নেওয়া কর্নার থেকে দূরের পোস্টে হেডে জাল কাঁপান আশিকুর রহমান। সাত মিনিট পর ব্যবধান বাড়ায় বাংলাদেশ। ডানদিক দিয়ে দুর্দান্ত এক আক্রমণ গড়েন মানিক। তিনি নিজে শট না নিয়ে বক্সে থাকা অধিনায়ক ফয়সালকে নিখুঁত পাস দিলে ফয়সাল মাটি ছোঁয়া শটে বল পাঠান জালে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
শেষদিকে নেপালের প্রত্যাবর্তন চেষ্টা, কিন্তু রক্ষা পায় বাংলাদেশ : ৮৬তম মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে আনে নেপাল। বক্সের মধ্যে ফাঁকায় থাকা সুজান দাঙ্গল জোরালো শটে পরাস্ত করেন মাহিনকে। ফলে শেষ মুহূর্তে উত্তেজনায় ফেরে ম্যাচে। যোগ করা সময়ে ফয়সাল নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেতে পারতেন। কিন্তু দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধান ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ফলে শিরোপার লড়াইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠল তারা। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কে হবে, তা নিয়ে চিন্তিত নন জুনিয়ররা। তরুণদের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেশজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে আশা জাগিয়েছে। এখন শুধু একটিই লক্ষ্য ফাইনালে জিতে শিরোপা উঁচিয়ে ধরা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ