আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫ ০৬:১৬ এএম
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রথম বিদেশে জার্মানির স্থায়ী সেনা ঘাঁটি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো বিদেশে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করল জার্মানি। ন্যাটোর পূর্ব সীমান্ত রক্ষায় জার্মানির এই উদ্যোগকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। শনিবার (২৪ মে) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্টোরিয়াস লিথুয়ানিয়া সফরকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘৪৫তম সাঁজোয়া ব্রিগেড’-এর উদ্বোধন করেন। এই ব্রিগেড লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে গঠন করা হয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যেই ২০১৭ সাল থেকে জার্মান সেনা মোতায়েন রয়েছে। দীর্ঘ প্রস্তুতির পর সেটিকে এবার পূর্ণাঙ্গ ব্রিগেডে রূপ দেওয়া হলো।
নতুন গঠিত ব্রিগেডে প্রায় ৫ হাজার সদস্য থাকবেন, যার মধ্যে ৪,৮০০ জন জার্মান সেনা এবং ২০০ জন বেসামরিক কর্মী। ২০২৭ সালের মধ্যে ব্রিগেডটি সম্পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করবে বলে জানানো হয়েছে।
চ্যান্সেলর মার্জ বলেন, “বাল্টিক অঞ্চলের মিত্রদের নিরাপত্তা মানেই আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা।” তিনি আরও জানান, ইউরোপের প্রতিরক্ষায় জার্মানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে ১১৩ বিলিয়ন ডলারের বিশেষ তহবিল।
অন্যদিকে, লিথুয়ানিয়া জানিয়েছে, ২০২৬ সাল থেকে তারা প্রতিরক্ষা বাজেট জিডিপির ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫–৬ শতাংশ করবে।
লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা বলেন, “দিনটি ঐতিহাসিক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম জার্মান সেনারা দীর্ঘমেয়াদে নিজেদের দেশের বাইরে অবস্থান নিতে যাচ্ছে।”
ভোরের আকাশ//হ.র