আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫ ১১:২৯ পিএম
পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, বাড়ছে মেয়াদ
টানা ১৯ দিনের উত্তেজনা ও সামরিক অভিযানের পর গত ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান। যদিও দু’একদিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও ফের সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে নতুন জটিলতা। এই প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ১০ মে পাকিস্তান ও ভারতের সামরিক মহাপরিচালকদের (ডিজিএমও) মধ্যে হটলাইনে প্রথম দফা আলোচনা হয়। ওই সময় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১২ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ১২ মে ও ১৪ মে পরপর দুটি বৈঠকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ যথাক্রমে ১৪ মে এবং এরপর ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপায় ভারত। তবে ইসলামাবাদ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ৬ মে মধ্যরাতে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে পাকিস্তান শাসিত আজাদ কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর জবাবে ১০ মে ভোরে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে আরেক দফা হামলা চালায় ভারত।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান শুরু করে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’। এ অভিযানে ভারতের অন্তত ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এ সময় ব্যবহৃত হয় ‘ফাতাহ-১’ নামক ক্ষেপণাস্ত্র।
চরম উত্তেজনার এই পর্যায়ে গত ১০ মে বিকেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানান, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও সংঘর্ষ বিশ্ব সম্প্রদায়েরও দৃষ্টি কেড়েছে। কূটনৈতিকভাবে শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজার আহ্বান জানানো হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।
সূত্র: জিও নিউজ
ভোরের আকাশ//হ.র