বাবুল আহমেদ, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৪৮ পিএম
কালাই-খেসারি ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা
কালাই-খেসারি ঘরে তুলতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। মানিকগঞ্জ জেলার কৃষকেরা কালাই উঠানো, মলন ও পালা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের আশা, সারা বছরের লোকসান পুষিয়ে দেবে কালাই-খেসারি।
কৃষকেরা বলছেন, এ বছর ফলন কম হয়েছে। অন্য ফসলেও তেমন লাভ হয়নি। খেসারিতে খরচ কম হলেও, দাম ভালো পেলে কিছুটা লাভের আশা করছেন কৃষক।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছর জেলায় কালাই-খেসারি চাষ হয়েছিল ২ হাজার ১৪ হেক্টর জমিতে। গত বছরের চেয়ে ৭২ হেক্টর কমে এ বছর চাষ হয়েছে ১ হাজার ৯৪২ হেক্টর জমিতে।
ওভাজানী গ্রামের কৃষক মানিক দেওয়ান দৈনিক ভোরের আকাশ-কে বলেন, ‘৮ বিঘা জমিতে কলই চাষ করেছি। গত বছরের চাইতে এ বছর ফলন কম। কৃষকের আয় নাই। কামলা (শ্রমিক) পইরাতের দাম বেশি। এখনো মলন শেষ হয় নাই।’
কুড়িগ্রাম থেকে কাজ করতে আসা সবির আলী বলেন, ‘আমি কুড়িগ্রাম থেকে কলই কাটার কাজ করতে এসেছি। আজ ২ দিন হলো। আর কয়েক দিন কাজ করে বাড়ি যাবো। আমাকে প্রতিদিন ৬০০ টাকা করে দেয়।’
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রাজিব বলে, ‘আমি পড়াশোনার পাশাপাশি বাবা-চাচাকে কৃষিকাজে সাহায্য করি। এখন কালাই-খেসারি মলন ভাঙতেছি। কিছুক্ষণ পর মলন দিবো।’
কৃষক রফিক খান বলেন, ‘আগে প্রতি বিঘায় ৫ মণ করে খেসারি পেতাম। এ বছর প্রতি বিঘায় ৪ মণ করে আসতে পারে। এ বছর অন্য ফসলের দামটা কম পাওয়ায় ক্ষতিতে আছি। আশা করছি, পূর্বের ফসলের জেরটা আমরা যেন উঠিয়ে আনতে পারি।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, ‘জেলায় বন্যা না হওয়ায় খেসারি-কালাইয়ের আবাদ কমে যাচ্ছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে জমিতে খেসারি ছিটিয়ে দিতে হয়। তাছাড়া ফলন কমে যাওয়ার কারণও বন্যা। আগে বন্যা হলে মাটিতে পলি জমতো। পলি যেখানে বেশি জমবে, সেখানে ফসল ভালো হবে।’
ভোরের আকাশ/এসএইচ