নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫ ০৭:৪১ পিএম
নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীর উপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা
নোয়াখালীতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে কিশোর গ্যাং। হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, নারীদের উত্যক্ত করাসহ নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে কিশোররা। রোববার (২৫ মে) রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলায় আবদুল করিম (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করেছে স্থানীয় কিশোর গ্যাং। এসময় তার কাছ থেকে ব্যবসায়ীক নগদ ৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।
ঐসময় তার সাথে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মাঝি ছিলেন। তাকে অস্র দিয়ে দাওয়া করলে তিনি দৌড়ে জীবন রক্ষা করেন। রক্তাক্ত করিমকে সন্ত্রাসীরা মৃত ভেবে গামা চৌধুরীর বাড়ির দরজায় ফেলে চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় মিলন ও মহিন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শাহজাহান মাঝি জানান, করিমকে নিয়ে ব্যবসায়ীক কাজে শান্তিরহাট থেকে করমুল্যা যাচ্ছিলেন তিনি। পথিমধ্যে পুর্ব আন্ডারচরের সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং নেতা আলমগীরের নেতৃত্বে মানিক, কামাল, পারভেজ, রাকিব, মামুনসহ ১০/১৫ জন কিশোর আমাদের গতিরোধ করে করিমের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে যায়। এবং তাকে অতর্কিত দেশীয় রামদা, চাইনিজ কুরাল দিয়ে আক্রমন করে মাথায় আঘাত করে। কিল ঘুসি লাথি মারতে থাকে। এসময় আমার উপরও আক্রমন করে হাতে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে অস্র নিয়ে তাড়া করলে আমি দৌড়ে প্রাণ রক্ষা করি এবং মোবাইল করে আত্বীয়দের খবর দিই। খবর পেয়ে স্থানীয় মিলন ও মহিন করিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ এনায়েত জানান, ৫ আগষ্টের পর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়ে গেছে। কেউ এখন নিরাপদ না। আলমগীর কিশোরগ্যাং নেতা। তাকেসহ তার বাহিনীকে গ্রেফতার করা হউক। তিনি আরও জানান, এর আগে শুক্রবারে করিমের দোকানে এ সন্ত্রাসীরা হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে।
আহত করিম জানান, ব্যবসায়ীক কাজে করমুল্যা হয়ে চট্রগ্রাম যাবার কথা ছিল তার। সাথে নগদ ৬ লক্ষ টাকা ছিল। সন্ত্রাসীরা মাথায় কুপিয়ে আঘাত করে এবং বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে কোমরের বাধা নগদ ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এর আগে শুক্রবার তার দোকানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে এ সন্ত্রাসীরা। যা স্থানীয় ভাবে বসার কথা ছিল। তিনি হামলা কারী কিশোর গ্যাংয়ের গ্রেফতার, টাকা উদ্ধার ও বিচার দাবী করেন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/এসআই