শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫ ০২:৩৯ পিএম
শেরপুরে বাড়ছে নদীর পানি, বন্যার আশঙ্কা
ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে শেরপুরের চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ভয়াবহ বন্যা হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর পাশের নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় আশপাশের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, নকুগাঁও পয়েন্টে ভোগাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭৯ সেন্টিমিটার নিচে, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান বলেন, পানি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ভারতের দুটি প্রদেশে বৃষ্টি এবং এই অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের ফলেই এই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বাঁধগুলোতে নিয়মিত নজরদারি রাখছি।
এদিকে শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জেলায় ৯৪ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে আর বাকি ধান দ্রুত কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং শুরু হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, বৃষ্টি ও উজানের কারণে পানি বেড়েছে। গত চার দিন জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভোগাই নদীসহ কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছিল। এ অবস্থায় আকস্মিক বন্যার শঙ্কা রয়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ