বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৫ ১১:১৭ এএম
রহিম মিয়ার সংসারে স্বচ্ছলতার গল্প
কুষ্টিয়ার ছেলে রহিম মিয়া। বেনাপোলে ‘কুলফি মালাই বিক্রেতা’ হিসেবে বেশ নাম-ডাক। লাল কাপড়ে মোড়ানো মাটির পাতিল ভর্তি বরফের সাথে রাখা কুলফি মালাই নিয়ে ভ্যানগাড়িতে মাইক বাজিয়ে বেনাপোল শহরে ঘুরে বেড়ান তিনি। টিনের ছোট্ট কৌটায় সাদাটে কুলফি মালাই, স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়- যা মুখে দিতেই গলে যায়, তাই ছোট-বড় সবার প্রিয়। শহরবাসীর কাছে এভাবেই নানা উপমায় পরিচিত ‘রহিম মিয়ার কুলফি মালাই’। এই মালই বিক্রি করে সংসারে স্বচ্ছলতাও ফিরিয়ে এনেছেন রহিম মিয়া।
বেনাপোল শহর ছাড়িয়ে গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন আনাচে-কানচেও পাওয়া যায় এই কুলফি মালাই। জানা যায়, রহিম মিয়ার দেখাদেখি বেনাপোলে গড়ে উঠেছে আরও ৪/৫টি ঠেলাগাড়ীর কুলফি মালাই দোকান। যারা কুলফি তৈরি ও বিক্রিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন।
রহিম মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার বাড়ি কুষ্টিয়া হলেও তিনি এখন বেনাপোলের বাসিন্দা। ২০১০ সালে বেনাপোল আসেন। বেনাপোলে কুলফি মালাইয়ের কোনো দোকান কিংবা গাড়ি নেই দেখে সিদ্ধান্ত নেন-বেনাপোল থেকে কুলপি মালাই তৈরি করে বিক্রি করার। স্থায়ী কোনো জায়গা না পাওয়ায় ভ্যানগাড়িতে ভ্রাম্যমাণ হিসেবে মালাই বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর থেকে বেনাপোল শহরে ঠেলা গাড়িতে কুলফি বিক্রি করতে করতে সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কুলফি মালাই বিক্রি করে আসছেন রহিম মিয়া। রহিম জানান, তিনি কুলফি মালাই তৈরি করতে বেনাপোলের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে খাঁটি গরুর দুধ ক্রয় করেন। গরুর দুধ, চিনি, এলাচ,কিচমিচ,গরম মসলাসহ নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি করেন সুস্বাদু কুলফি মালাই। কুলফি মালাই তৈরিতে তার স্ত্রী তাকে সহযোগিতা করেন। রহিম মিয়া আরও জানান, কুলফি মালাই বিক্রি করে তার সংসারও ভালোভাবেই চলে যাচ্ছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা